বাংলা সাহিত্যের অন্যতম খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় কবি আসাদ চৌধুরীর মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে না। কানাডাতেই তাকে দাফন করা হবে। কানাডার পিকারিং ডাফিন মেডোজে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কানাডার অশোয়া শহরের লেকরিজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে কবির বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি গত এক বছর ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন তিনি।
আগামীকাল স্থানীয় সময় শুক্রবার সময় বাদ জুমা টরন্টোর নাগেট মসজিদে কবির নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার পর তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য আধা ঘণ্টা মসজিদের ভেতর রাখা হবে। এরপর তার মরদেহ পিকারিং ডাফিন মেডোজে দাফন করা হবে।
কবি আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান কবিদের অন্যতম। তিনি তার আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গী, টেলিভিশনে জনপ্রিয় সব অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার জন্য পরিচিত।
এ ছাড়া তিনি তার ভরাট কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি করেও মানুষের মন জয় করেছেন। মৌলিক কবিতা ছাড়াও শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী এবং অণুবাদকর্মে তার অবদান প্রণিধানযোগ্য। ১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু।’
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম। কবির পিতার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী ওরফে ধনু মিয়া।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ