রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১

বছরে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ১৩ হাজার, মারা যায় ৮ হাজার

প্রকাশনার সময়: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৩৮

দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। মারাও যায় প্রায় আট হাজার নারী। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম।

রোববার (১ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ক্যানসার ইপিডেমিওলোজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার এসব তথ্য জানান।

ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, নারীদের সংকোচবোধের কারণে দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। বাংলাদেশে সার্বিকভাবে ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থাও অপ্রতুল। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ, প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের কোনো জাতীয় কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি নেই।

ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, লক্ষণ না থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের সহজ ও ব্যথা-কষ্টবিহীন পদ্ধতি প্রয়োগ করে গোপন থাকা ক্যানসার নির্ণয় করাকে ক্যানসার স্ক্রিনিং বলা হয়। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা গেলে ও সময়মতো পরিপূর্ণ চিকিৎসা দিতে পারলে শতকরা ৯০ শতাংশ রোগীর সুস্থ হওয়া সম্ভব। দুঃখের বিষয়, আমরা এখানে অনেক পিছিয়ে থাকায় তিন-চতুর্থাংশ রোগী ধরা পড়ে রোগের শেষ পর্যায়ে।

ডা. হাবিবুল্লাহ বলেন, বিএসএমএমইউ এর গাইনি বিভাগের চালু করা জরায়ুমুখের ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্তন ক্যানসারে যে স্ক্রিনিং দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে সরকারের সহযোগিতায় চালু আছে, তা অসংগঠিত ও অসম্পূর্ণ। অবিলম্বে স্তন, জরায়ুমুখ ও মুখগহ্বরের ক্যানসার এ তিনটির জন্য সমাজভিত্তিক, সংগঠিত ও সমন্বিত জাতীয় স্ক্রিনিং কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হওয়া দরকার।

২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দেশে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরামের আহ্বানে বেসরকারিভাবে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মাসব্যাপী কর্মসূচিও ঘোষণা করে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বারডেমের সাবেক পরিচালক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট অধ্যাপক সায়েফউদ্দিন আহমেদ সপু, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. হালিদা হানুম আক্তার, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার মশিউদ্দিন শাকের, বিশিষ্ট সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ডা. মো. হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এমবি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ