ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এডিসি হারুনকাণ্ডে তৃতীয়বার বাড়লো তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময়

প্রকাশনার সময়: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:৩৯

রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আরও ৩ কার্যদিবস বাড়িয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ নিয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুনকাণ্ডে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হলো।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন জমা দিতে আবারও তিন কার্যদিবস সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এর আগে, তদন্ত কমিটি শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের দায় পেয়েছে বলে জানায়। একই সঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন, তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়া গেছে বলে জানায়।

প্রথমে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারায় বাড়তি ৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করে কমিটি। এর ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার আরও ৫ দিন সময় দেন। বর্ধিত সময়ের শেষদিন ছিল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। এরমধ্যেই তদন্তকাজ শেষ করার কথা জানা গেলেও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আরও সাতদিনের সময় চেয়ে আবেদন করে কমিটি। ওই সময় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার তিন কার্যদিবস সময়সীমা বাড়ানো হয়। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থাকলেও আবারও তদন্ত কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় দিনের মতো তিন কার্যদিবস সময়সীমা বাড়ানো হয়।

এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দপ্তরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ মারধরের নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ