ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরকার পতনে ফাইনাল কর্মসূচি অক্টোবরে : গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রকাশনার সময়: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:১০ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২৩

অক্টোবরে সরকার পতনের ফাইনাল কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, সরকার পতনে ফাইনাল কর্মসূচি প্রয়োজন। যে কর্মসূচির জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে, সেই লক্ষ্যে সামনের মাসে (অক্টোবর) সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বৃহত্তর আকারে এবং আরো শক্তিশালী কর্মসূচি নিয়ে আসছে। যে কর্মসূচি সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রে আঘাত করে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সংবিধান আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। আরও দুইটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া কথা ছিল। এটা সবাই বলেছেন। আর এখন পৃথিবীর সবাই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, এই সংসদ এবং নির্বাচন কমিশন রেখে কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না এবং জনগণ হতেও দেবে না। আর আমরা এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে নানা করে ঘরে ফিরে যাব না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন তো হতেই হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকবে না কি আমরা থাকব, তাও নির্ধারণ হয়ে যাবে। যদি নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারি। আর আপনি যদি খেলা ফাইনাল করতে চান তাহলে তার আগে ফাইনাল করতে হবে। সেই ফাইনাল কর্মসূচি আপনার লাগবে। আর সেই কর্মসূচির জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে। মানুষ ওই আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করছে। মানুষ রুখে দাঁড়াতে চায়।

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে বারবার নির্বাচনের ঘোষণা করছে। কেউ আসুক বা না আসুক তারা সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন করবে। মূলত পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সরকার নিজের জন্য সুবিধাজনক জায়গা তৈরি করেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য এই পঞ্চদশ রায় আনা হয়েছে। আইনিভাবে বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার বাস্তবে আরও একটি সাজানো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। বিরোধীদের আন্দোলনকে সমস্যার মধ্যে ফেলার জন্য লম্বা সময় নিয়ে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশন সরাসরি সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা সরকারের সহযোগী হচ্ছে। এটা হলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সরকার সংঘাত ও গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে।

জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ