ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধ যা দেখলে সবাই দূরে চলে যায়। নাকে রুমাল ধরে সেই দুর্গন্ধের পথটুকু পারি দিতে পারলে যেন বাঁচে। কিন্তু কিছু মানুষের জীবন কাটে এই ময়লা-আবর্জনার মাঝেই। তারা পরিচ্ছন্ন কর্মী। জীবিকার তাগিদে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সারাদেশে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন তারা।
কম বেতন অথবা হাজিরা ভিত্তিক কম টাকা দিয়েই টানাটানির মধ্যে চলে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম, আর বাসস্থানও থাকে আবর্জনাময়। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের এমন সমস্যা সমাধানে দেশের ৬৬টি পৌরসভা এলাকায় পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনে তাদের জন্য নির্মাণ হবে ৩ হাজার ৪০টি ফ্ল্যাট।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। একনেক কার্যপত্রে দেখা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, আজ ‘পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে তোলা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসন সমস্যা সমাধান। আটটি বিভাগের ৫৯টি জেলার ৬৬টি উপজেলার ৬৬টি পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটি এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নগর ও পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ১৫.৬১ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৩ হাজার ৪০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, ৬৬টি সুয়ারেজ পরিশাধন ও গ্রাউন্ড রিচার্জসহ রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, ১টি ডাবল কেবিন পিকআপ ও ৪০টি মোটরসাইকেল ক্রয় এবং পরামর্শ সেবা ক্রয় ইত্যাদি কাজ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসন সমস্যা সমাধান হবে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ