ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদিলুর-এলানের কারাদণ্ডে ১২ দলীয় জোট ও ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বেগ

প্রকাশনার সময়: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৯

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় নিয়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ১২ দলীয় জোট ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পৃথক এক বিবৃতি এ উদ্বেগ জানিয়েছেন নেতারা।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, আদিলুর রহমান এবং এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে রায় মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে। যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেনো, ‘অধিকার’ কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার নিন্দা জানাই।

জোট নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ আমরা এমন নির্মম, নির্দয় সময়ে এসে পড়েছি, যেখানে খোদ মানবাধিকার কর্মীদেরও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে; কোনো নিন্দা বা প্রতিবাদের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। ‘অধিকার’ একটি নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে দেশ-বিদেশে সুপরিচিত। আজকে আইন-আদালতকে ব্যবহার করে নাগরিক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ক্ষমতার দাপটে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, আলেম ওলামা, মানবাধিকারকর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করে গদি রক্ষা করা যাবে না।

বিবৃতিদাতারা হলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন।

অন্যদিকে, কারাদণ্ডের রায়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, তাদের সাজা ও কারাদণ্ডাদেশে রাষ্ট্রীয় রোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই রায়ে এটা আরও একবার প্রমাণ হলো যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কত শোচনীয়! গত এক দশক ধরে হয়রানিমূলক মামলায় ধারাবাহিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে যা মানবাধিকারের চরম লংঘন। এই রায়ে যে বিরুদ্ধ মত ও স্বাধীন তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে তাও পরিস্কার।

তিনি বলেন, গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসসহ গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেই প্রশংসিত হয়েছে। তাদেরকে সহায়তার পরিবর্তে সরকার তাদের তহবিল বন্ধ করে দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ