দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা দেশের মানুষের জন্য নতুন ভীতি হিসাবে দেখা দিয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে জাতীয় ডেঙ্গু গাইডলাইন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু মশা সাধারণত ক্লিন কন্টেইনার বা ক্লিন ওয়াটারে জন্মায়। দেশের উপজেলাগুলো এখন প্রায় শহরের মতো হয়ে গেছে, সেখানে ডেঙ্গু জন্মাতে পারে এমন ক্যান ও অন্যান্য জিনিসগুলো অ্যাভেলেবল। যার কারণে শহর ছাড়িয়ে এখন উপজেলা শহরগুলোতেও ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাচ্ছে। কাজেই এটাকে কোনও অবহেলা করার সুযোগ নেই।
ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমিয়ে আনতে এখন দরকার সাধারণ মানুষের সচেতনতা- এমন মন্তব্য করে রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে প্রথমতো দরকার পাবলিক অ্যাংগেজমেন্ট, আরেকটা হলো ইনভিসিবিলিটি অ্যাংগেজমেন্ট। যেসব এলাকায় ডেঙ্গু জন্মায়, কিছু হচ্ছে পাবলিক এরিয়া; আর কিছু নো ম্যানস ল্যান্ড। এই দুই জায়গার পরিধি প্রায় সমান সমান। কাজেই মানুষকে একত্রিত করে ফিল করাতে হবে, এটা প্রত্যেকের সমস্যা। এখানে দরকার একটি ট্রাস্টেবল লিডারশীপ।
আর কাগজে দেওয়া নির্দেশনাগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হবে মাঠ পর্যায়ে। তবেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
এদিকে, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৭৩৫ জন ভর্তি হয়েছে। অন্যদিকে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১২ হাজার ৯১ জন।
গতকাল সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ২৭৫ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ২২০ জন। গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫২ জন মারা গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে গত আগস্ট মাসে। গত মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৪ জন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ