২৩ বছর আগে বগুড়ার ধুনট থেকে নিখোঁজ হওয়া আমেনা খাতুন (৮০) নেপাল থেকে দেশে ফিরেছেন।
সোমবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিবার ও স্বজনদের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আমেনা খাতুন নেপালের সুনসারি জেলার ইনারোয়া শহরে গৃহকর্মী ও রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। গত ৩০ মে নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস তার সন্ধান পায়। তার আগে আমেনা খাতুন বার্ধক্যজনিত কারণে কাজ করতে না পারায় সুনসারির ইনারোয়ার ফুটপাথে অসহায়ভাবে পড়েছিলেন।
ইনারোয়ার পৌরকর্মীরা তাকে ফুটপাথ থেকে উদ্ধার করে জেলার সেফহোমে পৌঁছে দেন। সেখানে আমেনা খাতুনকে নিয়ে একজন নেপালি ফেসবুকে পোস্ট দিলে নেপালে বাংলাদেশ যুব সংগঠনের চেয়ারম্যান অভিনাভ চৌধুরী ওই ফেসবুক পোস্টে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার মো. মাসুদ আলমকে ট্যাগ করে দেন।
নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার মো. মাসুদ আলম ফেসবুক পোস্টটি দেখার পর আমেনা খাতুন বাংলাদেশি কি না এবং তাকে কীভাবে দেশে ফেরানো যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেন। কনস্যুলার মো. মাসুদ আলম বিষয়টি ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সরকারের একটি বাহিনীর প্রতিনিধিরা ধুনটে গিয়ে আমেনা খাতুনের পরিচয় শনাক্ত করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমেনা খাতুন এবং তার পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ ঘটালে পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পারে এবং হারিয়ে যাওয়া আমেনা খাতুনের সন্ধান মেলে।
নেপাল থেকে আমেনা খাতুনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি খরচেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কিছুটা বিলম্ব ঘটে। সর্বশেষ সোমবার দুপুরে আমেনা খাতুন ২৩ বছর পর ফিরে যান স্বজনদের কাছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ