ঢাকার চারপাশকে নান্দনিক সাজে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এজন্য প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা করা হচ্ছে। প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে ৩৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমির অবৈধ দখল রোধ এবং দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্য বর্ধন; নদীর উভয় তীরের পরিবেশগত উন্নয়ন; নদীর দখলমুক্ত তীরভূমিতে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া নদীর নাব্যতা, গভীরতা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি এবং নদীর পানি দূষণ হ্রাস করা হবে। এ জন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
ঢাকা, ঢাকা সদরঘাট, উত্তরখান, তুরাগ, মোহাম্মদপুর, কামরাঙ্গীরচর, কোতোয়ালি, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর বন্দর, সোনারগাঁও, গাজীপুর ও গাজীপুর সদরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। চলমান প্রকল্পটি জুন ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। মূল প্রকল্পটি জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা ছিল। এখন প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৩ নাগাদ করা হচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। ঢাকার জন্য প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চারপাশে সৌন্দর্যবৃদ্ধি করার ফলে আমরা খোলা মনে আলো-বাসাত খেতে পারব।
প্রকল্পের আওতায় ১৮ দশমিক ২১ লাখ ঘনমিটার মাটি খনন ও অপসারণ, ৩৩ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার নদীর তীরভূমি উন্নয়ন, নদীর তীরভূমিতে কলামের ওপর ১৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে এবং ওয়াকওয়ে সংলগ্ন ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৮০টি আরসিসি সিঁড়ি নির্মাণ, ১০ দশমিক ০৪ কিলোমিটার কি-ওয়াল নির্মাণ, ২৯১টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ, ৮৫০মিটার সীমানা প্রাচীর ও ৩৮৫০টি সীমানা পিলার নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া ৪টি ঘাট, ১৪টি জেটি ও ২৮টি স্পাড নির্মাণ, ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার বোল্ডার প্রটেকশন ফর স্কাউর, ২১ হাজার বর্গমিটার পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, সাড়ে ৩ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ৩টি ইকোপার্ক নির্মাণ ১টি ডাবল কেবিন পিক-আপ ক্রয় ইত্যাদিসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।
ওয়াকওয়ে সংলগ্ন ৩৫ দশমিক ৩৫৮ কিলোমিটার ড্রেন, ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার বোল্ডার প্রটেকশন ফর স্কাউর, জেটির জন্য ২১ কিলোমিটার পার্কিং ইয়ার্ড এবং ৪টি ঘাট নির্মাণ কার্যক্রম ডিপিপিতে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। রেট সিডিউল পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট অঙ্গের ব্যয় বৃদ্ধিসহ কিছু অঙ্গের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে। ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধি করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ