দুই শিশুপুত্রকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানো শেখানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ঘটনা বেশ কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল নিজের দুই শিশুপুত্রের হাতে পিস্তল তুলে দিয়ে গুলি ছোড়ার কৌশল শেখাচ্ছিলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিটি হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এমন অবস্থায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি ‘বেআইনি’ না হলেও ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেছেন এবং এ জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভিডিওটি ২০১৫ সালের শেষে অথবা ২০১৬ সালের গোড়ার দিকে করা। ওই সময় তিনি খুলনার কয়রা উপজেলার বন আদালতের বিচারক ছিলেন। সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে ছেলেদের শখের বসে গুলি চালানো শেখান। ভিডিওটি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে পোস্ট করেন।
ঘটনাটি বেআইনি নয় দাবি করে বিচারক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই সময় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারসংক্রান্ত বিধিমালা ছিল না। এত কড়াকড়ি ছিল না। বছরে বরাদ্দের ৫০টি গুলি আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষা বা ব্যবহারের কাজে ব্যবহার করা যেত। এসব গুলি ব্যবহারের জন্য কোনো হিসাব দিতে হত না। ২০১৬ সালের শেষ দিকে বিধিমালা (আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬) তৈরি হয়।
এ বিধিমালায় গুলি ব্যবহার করলে থানায় জিডি করে ব্যাখ্যা করতে হয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও জানাতে হয়। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলয় থেকেও তদারকি হয়। যেহেতু বিধিমালা তৈরির আগেই এ ঘটনাটি ঘটেছে, সেহেতু ঘটনাটি কোনো বেআইনি ঘটনা নয়। কেবল শখের বসে এবং শুটিং স্পোর্টস হিসেবে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে তিনি ছেলেদের গুলি চালানো শিখিয়েছেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সময় অস্ত্র চালানো ও শেখানোর বিষয়টি বেআইনি না হলেও সেটি ধারণ করে পোস্ট করা এবং পরবর্তীকালে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ায় আমি মনে করি, আমার এ কাজ ঠিক হয়নি। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ