পুলিশের কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ সদস্যরা যেসব অপরাধ করছে সে বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত। এটা করলে ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ দেয়ার মতো অবস্থা হতো। আমরা ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ দিতে চাই না। আমরা ক্ষতটা কেটে ফেলতে চাই। এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
রোববার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে সারাদেশের ১০৫টি ভেন্যুতে সব পুলিশ সদস্যের পদমর্যদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে আন-অফিশিয়ালি অনেক কথা হয়েছে। শিগগির অফিশিয়াল কথা ববে। ভারতে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দেশেও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাই তাকে আসামি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হবে। ভারতের সঙ্গে যেহেতু আমাদের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আছে তাই তাকে দেশে আনতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নির্ধারণ করতে তিনটি বিশেষ কমিটি করা হয়েছিল। এসব কমিটি পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ চাহিদা নির্ধারণ করে প্রত্যেক পদমর্যাদার জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ কোর্সের মডিউল প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবিত মডিউল হতে অনুমোদিত কোর্সের সিলেবাস এবং কোর্স মডিউল কনটেন্ট তৈরি করা হয়। কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজি পদমর্যাদার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বছরে এক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। এএসপি এবং তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি (বিপিএ) সারদায়, সাব-ইন্সপেক্টর থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস), ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস), এপিবিএন অ্যান্ড স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টার, পুলিশ স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টার বেতবুনিয়া এবং সব পিটিসি ও ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। কনস্টেবল, নায়েক এবং এএসআই পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের তত্ত্বাবধানে দেশের ১০৫টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত ২ লাখ ১৮ হাজার ১২০ জন পুলিশ সদস্যকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণসমূহের সফল সমাপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা আইন ও বিধি এবং পেশাসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ডক্টর মইনুল হাসান চৌধুরী, এস এম রুহুল আমিন, র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মল্লিক ফখরুল ইসলামসহ পুলিশের ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইউনিট প্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ