ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে দালালদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গ্রেফতার মোট ৩০ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। দুপুরের দিকে অভিযান শেষ হয়। অভিযান শেষে ঢামেকের বাগান গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আগের মতোই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। প্রথমে ৪০ এর অধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ৩০ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ঢামেক হাসপাতাল হচ্ছে রোগীদের জন্য শেষ ভরসা। সব শ্রেণির মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। নামমাত্র মূল্যে এখানে রোগীদের সেবা দেয়া হয়। এই সংঘবদ্ধ দালাল চক্র কৌশলে বুঝিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের নিম্নমানের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সরল মনে রোগীরা সেখানে গিয়ে প্রতারিত হয়। সেই নিম্নমানের হাসপাতালগুলোতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এসব সংঘবদ্ধ দালাল চক্র চিকিৎসকদের চিকিৎসার বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আশরাফুন্নাহার সাংবাদিকদের জানান, দালালরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বারবার হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করছে। হাসপাতালে তারা যেন আর ঢুকতে না পারে, এ ব্যাপারে আমরা আরো সজাগ থাকব।
এর আগে ১০ জুন ঢামেক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২৪ জন দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে র্যাব। তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দেন অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ