সম্প্রতি বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরস্থান সরানো নিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতারা একের পর এক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিও পাল্টা হুশিয়ারি প্রকাশ করেছেন।
তবে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন জেড ফোর্সের জিয়াউর রহমান। সে সময় নির্বাচিত মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় এমনটি করা হয়।
আজ শনিবার ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মুজিবনগর ও বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা-কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ১০ম সম্মেলনে তিনি বলেন, সে সময় সরকারের অধীনে কাজ করতে বললে নিজের ‘কমিশনের মাধ্যমে যুদ্ধ করার’ কথা বলেছিলেন জিয়াউর রহমান। সে জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এম এ জি ওসমানী। পরে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়ায় দায়িত্ব ফিরে পান জিয়া। অন্যদের সঙ্গে তার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে এখানেই পার্থক্য।
খন্দকার মোশতাকের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, তিনি মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় বলেছিলেন- ‘বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি, তাকে মেরে ফেলবে ওরা। বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দরকার নেই। যুদ্ধ বন্ধ করে পরে সময়-সুযোগ মতো বাংলাদেশকে স্বাধীন করবেন বঙ্গবন্ধু।’
সেই সময় নিজেদের নিশ্চুপ থাকার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের যে ভুল হয়নি, তা কিন্তু ঠিক না। সেই সব চিহ্নিত ব্যক্তিদের সময়মতো সঠিক বিচার করতে পারলে ১৫ আগস্টের বেদনার দিন দেখতে হতো না। বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল জিয়া-মোশতাক নয়, আরো অনেকে জড়িত ছিলেন, তারা চিহ্নিত হয়নি। ইতিহাসের প্রয়োজনে তাদের চিহ্নিত করতে হবে, সে জন্য সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে চাই আমরা।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন-অর-রশীদ ও ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মসিউজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ