দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। তবে ভয়াবহ হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চার জন মারা গেছেন।
করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন। একদিনে মৃত্যুর হিসেবে এটি সর্বশেষ ৮০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ১৬ জুন করোনায় ৬০ জন মারা গিয়েছিলেন।
একই সময় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৪৩ জনের। সবমিলিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জনে।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৪৯ জনের মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ১২ জন জুলাই মাসে, ৩৩ জন আগস্টে এবং ৪ জন সেপ্টেম্বরে মারা গেছেন।
চলতি বছরে ১১ হাজার ২৩৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৯ হাজার ৯২৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১২০ জন। ঢাকার বাইরে ১৩৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে- জানুয়ারি থেকে চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম রোগী ভর্তি হয় এপ্রিল মাসে, মাত্র তিন জন। এরপর ফেব্রয়ারিতে ৯ জন। মার্চে ১৩ জন, জানুয়ারিতে ৩২ জন। মে মাসে ৪৩ জন।
জুনে এসে রোগী বাড়তে থাকে। জুন মাসে ডেঙ্গু নিয়ে ২৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। জুলাইয়ে আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২ হাজার ২৮৬ জন অর্থাৎ দিনে গড়ে প্রায় ৭৪ জন করে, ঘণ্টায় তিন জনের বেশি।
আগস্টে ভর্তি হয় ৭ হাজার ৬৯৮ জন। অর্থাৎ দিনে গড়ে ২৪৮ জন করে। ঘণ্টায় ১০ জনের বেশি অর্থাৎ প্রতি ৬ মিনিটেরও কম সময়ে দেশে ডেঙ্গুতে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের এই তিন দিনে ভর্তি হয়েছে ৮৮০ জন অর্থাৎ ২৯৩ জন করে। ঘণ্টায় ১২ জনের বেশি অর্থাৎ প্রতি ৫ মিনিটেরও কম সময়ে একজন করে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ