প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে বর্তমানে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই গ্রামীণ এলাকার। তারা অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেননি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘মানুষের ধারণা ছিল স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা ভালো না। তাই তারা জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভিড় করেন।’
তিনি বলেন, ‘গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ ভ্যাকসিন নেননি। তাই সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। এ ছাড়াও আক্রান্ত হয়ে অনেকে দেরিতে হাসপাতালে এসেছেন। যা বেশি মৃত্যুর আরেকটি কারণ।’
জনস্বাস্থ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে প্রান্তিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। জনবলের ঘাটতি থেকে শুরু করে অনেক কিছু। তবে সেগুলো আসতে আসতে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় এখন উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালেও সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা ভবিষ্যতে কোন পর্যায়ে যাবে আমরা কেউই জানি না। তবে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা আগেও রোগীদের পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।’
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মুনির হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বরদন জং রানা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সালসহ অন্যরা।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ