বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারির আদেশও বহাল রেখেছেন আদালত। এছাড়া এ বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
কোর্টে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
এর আগে, গত ১৫ মে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাফুফে কর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন।
তবে গত ২২ জুন ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়। কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ আবেদন করেন। তবে ২৫ জুন সকালে আবেদন প্রত্যাহার করেন কাজী সালাউদ্দিন।
গত ১৪ মে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটটি করা হয় ফুটবল একাডেমির পক্ষে।
এছাড়া গত ৩ মে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
গত ১৪ এপ্রিল জালিয়াতি এবং মিথ্যাচারসহ ফিফার অন্তত চারটি আইন লঙ্ঘন করায় সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। একই সঙ্গে তাকে জরিমানা করা হয় প্রায় ১২ লাখ টাকা।নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ