ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাকসামে নবজাতকসহ বাবার পাশেই শায়িত হবেন আঁখি

প্রকাশনার সময়: ১৯ জুন ২০২৩, ১২:২৮
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় মারা যাওয়া মাহবুবা রহমান আঁখি এবং তার নবজাতককে আঁখির বাবার কবরের পাশেই শায়িত করা হবে।

সোমবার (১৯ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন।

তিনি বলেন, কুমিল্লার লাকসামে আঁখির বাবার কবরের পাশেই তাদের দাফন করা হবে। এখন পর্যন্ত তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালেই আছে। কিছুক্ষণ পর আঁখির ময়নাতদন্ত শুরু হবে, শেষ হতে হয়তো দুপুর ১২টা থেকে ১টা বাজবে। এরপর তাদের কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে।

সুমন আরো বলেন, আঁখির মৃত্যুর পরও সেন্ট্রাল হাসপাতালের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এ ছাড়া এখন আর যোগাযোগ করেও লাভ কি! তারা আমার স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছে। এখন আমরা আইনের পথেই হাঁটব।

এর আগে, প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। কিন্তু ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ওই নারীর ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি।

এ সময় ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়। এতে বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।

এ অব্স্থায় স্বামী ইয়াকুব আলী সেন্ট্রাল হাসপাতালের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে পরে তার স্ত্রীকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আঁখি।

এ ঘটনায় ওই দিনই ধানমন্ডি থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে মামলা করেন আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী। এরপরই ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিদের গত ১৫ জুন আদালতে তুললে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ