সুনামগঞ্জ, নওগাঁর পত্নীতলা ও পোরশায় বজ্রপাতে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) এ ঘটনা ঘটে।
নওগা : নওগাঁয় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে জেলার পত্নীতলা এবং পোরশা উপজেলায় বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মণ্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৪০) ও হবিবর রহমানের ছেলে মোতাহার হোসেন (৩২), ছোট মহারন্দী গ্রামের সইফুদ্দিনের ছেলে মাসুদ হোসেন (২৫) এবং পোরশা উপজেলার নীতপুর ইউনিয়নের সোহাতী গ্রামের আজিজুল হক (৬৫)।
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেবনাথ বজ্রপাতে তিনজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতরা পৃথক স্থানে মাঠে কাজ করছিলেন। বিকেলে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তাদের মৃত্যু হয়।’
পোরশা থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, ‘বাড়ির পাশে মাঠে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গিয়েছিলেন আজিজুল হক। বিকেলে হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।’
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও দিরাই উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার জিনারপুর গ্রামের সেলিম মিয়া ও জয়নাল মিয়া এবং দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের আব্দুল মালেক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ধোপাজান চলতি নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। ওই সময় বজ্রপাতে জিনারপুর গ্রামের সেলিম মিয়া ও জয়নাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এছাড়া দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের আব্দুল মালেক হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ইউপিতে দুইজন মারা গেছে, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছে। তাই হাওর বা উন্মুক্ত স্থানে যারা কাজ করেন তাদেরকে আপাতত এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে।’
নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ