ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের হৃদযন্ত্রে জটিলতা ধরা পড়ার পর শুক্রবার (১৮ জুন) ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য লেখেন, আপা, আপনিই আমার মমতাময়ী জননী স্নেহময়ী ভগিনী। আপনাকে অনেক ভালোবাসি ক্ষমা করে দিয়েন আমাকে। সবাই ভালো থাকবেন। আপনাদের আর যন্ত্রণা দিবো না।
সিদ্দিকী নাজমুল আলম লেখেন, সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন। বাঁচবে কি না জানি না, তবে এই চরম মুহূর্তে কিছু সত্য কথা বলে যাই। আমি রাজনীতিটা একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনারে মেনেই করতাম এবং করি। কোনোদিন তার বাইরে যাইনি।
সাবেক অনেক বড় ভাইদের কথায় আমি কখনও চলি নাই। বরং পেছনের সারির অনেককে নেতা বানাইছি নিজের ইচ্ছায়। আর প্রেম করেছিলাম কিন্তু মানিয়ে নিতে পারিনি তাই বিয়ে হয়নি। আর শেষ কথা হলো বাংলাদেশে কোন ব্যাংকে আমার নামে এক পয়সাও লোন নাই এবং লোনের কোনো টাকা বিদেশেও নিয়ে আসিনি। তদবির ঠিকাদারি দালালি পদ বাণিজ্য কখনও করিনি।
লন্ডনে গায়ে খাঁটি জীবনে যে কাজ করিনি, তা করে জীবনযুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম। কিন্তু আমার কপাল ভালো না। কিছুক্ষণ আগেই আমার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে অনেকগুলো ব্লক ধরা পড়েছে। ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে। হয়তোবা আজকালের মধ্যেই করবে।
সরকারি হাসপাতালেই করবে। কারণ এই দেশে চিকিৎসা ফ্রি তাই আর কেউ কষ্ট কইরা ভূল তথ্য দিয়েন না যে, কোটি টাকার অপারেশন। যদি মরে যাই একটাই কষ্ট থাকবে নিজের দলের মানুষের প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে বারবার আমার নামে। আর আফছোছ হয়তোবা বড় কোনো ভাই আমার নামে অনেক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার নেত্রীর কান ভারি করে রেখেছে। সেই ভূলগুলো হয়তো ভাঙিয়ে যেতে পারলাম না।
আজ শনিবার (১৯ জুন) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে সিদ্দিকী নাজমুল আলমের স্বাস্থ্য বিষয়ে অবহিত করেছি। তিনি তার দ্রুত আরোগ্য লাভ হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন এবং তাকে চিন্তা করতে মানা করেছেন। তার খোঁজ রাখার জন্যও বলেছেন।’
নয়া শতাব্দী/ এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ