ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভবনা

প্রকাশনার সময়: ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৪:৫৫ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:৪২

ছয়টি নদীর পানি ১৩টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উভয় নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

গঙ্গা নদীর পানি সমতল কমেছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। এই পানি বাড়ার ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অপার মেঘনা অববাহিকার মনু ও খোয়াই ব্যতীত প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, যমুনা নদীর আটটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে ফুলছড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার, পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, মথুরা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ও আরিচা পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে।

এদিকে, পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন আরও পানি বাড়তে পারে। তবে ১ তারিখের পর পানি আবারও কমতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।

ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৩৫ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ সবজি ক্ষেত ও আমনের বীজতলা।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও পরিমাণ খুবই কম। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে যমুনা নদীর বাঁধ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ