আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার অর্থ বাংলাদেশকে হত্যা করা। তারা চেয়ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো পরিচালনা করতে। এর প্রেক্ষিতেই জিয়াউর রহমান ক্ষমতা লাভের পর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন পাস করে এবং খুনীদের যাতে বিচারের মুখোমুখী হতে না হয় সেটি নিশ্চিত করে।’
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন অনুষদের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার: আইনি পর্যালোচনা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার ( ২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১নং রুমে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইন অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমানের সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন মো. আনিসুল হক।
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে প্রমাণ করতে হবে সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কারণ হচ্ছে ভারতে যাওয়া ছাড়া, জেড ফোর্স নামের একটা ভুয়া বাহিনী ছাড়া আমরা কখনো দেখিনি যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। সে কারণে তাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলা সঠিক হবে কি না সেটা মনে হয় বিতর্কযোগ্য।’
এসময় আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াও খুনীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন। আর এরশাদ খুনীদের রাজনৈতিক দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় অবশেষে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। দীর্ঘদিন এই দেশের মানুষ কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারেনি। কারণ এই দেশে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হয়নি। কিন্তু এখন এই দেশের মানুষ যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারবে এবং বিশ্বাস রাখতে পারবে একদিন তারা বিচার পাবেই।’
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার, চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ গণহত্যার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন এবং অর্থনৈতিকভাবেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এখন তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখা। এর জন্য তরুণদেরকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতে হবে, ইতিহাস জানতে হবে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয়নি। তাই আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে।’
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ