ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

মারা যাননি পাইলট, অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশনার সময়: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৬:৩৯ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪১

মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিমান) পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ মারা যাননি। বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবারের বরাত দিয়ে যে মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ হয়েছিল তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে পাইলট কাইয়ুমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বর্তমানে তিনি ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কোমায় রয়েছেন।

রবিবার (২৮ আগস্ট) বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থার সর্বশেষ জানানো হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব জানিয়েছেন, উনি এখনো বেঁচে আছেন। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। আজ দুপুরে ওনার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ড এখনো কিছু জানায়নি।

তিনি আরও জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদের দুই বোন যারা আমেরিকায় ছিলেন, তিনি সেখানে পৌঁছেছেন। সেই সঙ্গে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারকে নাগপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কিংসওয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তি ক্যাপ্টেন নওশাদের বিষয়ে কিছু জানানোর এখতিয়ার তাদের নেই। বিমান বাংলাদেশ এ বিষয়ের সর্বশেষ সম্পর্কে ব্রিফ করবে।

গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণের পর তাকে সেখানকার কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

সর্বশেষ হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর... তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন... তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে... তিনি কোমায় আছেন।

শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইউম অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাইই নিরাপদে ছিলেন। এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ