ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তিতাসের ‘ভেল্কিবাজি’

প্রকাশনার সময়: ২১ মে ২০২৩, ০৮:২৪

‘ভাত দেয়ার জো নেই, কিল দেয়ার গোসাই’-প্রবাদ প্রবচনটি যেন তিতাস গ্যাসের ক্ষেত্রে যথার্থ। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে অনেকটা ব্যর্থ হলেও নানা অজুহাতে দফায় দফায় এর মূল্য বাড়িয়ে চলছে সংস্থাটি। ভুয়া ও মনগড়া তথ্য দিয়ে ফের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। কর্তৃপক্ষ রীতিমতো গ্রাহকদের সঙ্গে শুরু করেছে ভেল্কিবাজি খেলা।

মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এ বক্তব্যকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভোক্তারা। চুরি ঠেকাতে না পেরে সেই দায় আবাসিক গ্রাহকদের ওপর চাপাতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিতাসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিটারবিহীন এক চুলায় গ্যাস খরচ হচ্ছে ৭৩ দশমিক ৪১ ঘনমিটার এবং দুই চুলায় ৭৭ দশমিক ৩৮ ঘনমিটার। কিন্তু গত বছরের জুনে নতুন মূল্য নির্ধারণের সময়, গ্যাসের ব্যবহার সিঙ্গেল চুলার জন্য ৫৫ ঘনমিটার এবং ডাবল বার্নারের জন্য ৬০ ঘনমিটার হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল, যা বর্তমান খরচের তুলনায় অনেক কম। যার কারণে এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ১১৭ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে তিতাসের। দাম না বাড়ানো হলে নতুন অডিটে (এপ্রিল-জুন) এ লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তিন মাস পর পর বছরে চারবার আয়-ব্যয়ের চূড়ান্ত এ হিসাব করে থাকে বিতরণকারী সংস্থা তিতাস।

গত জুনে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায় জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এ সময় প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৮ টাকা করা হয়। তবে মিটার ছাড়া গ্রাহকদের জন্য মাসে গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে দুই চুলায় ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলায় ৫৫ ঘনমিটার ধরা হয়। সেই ঘোষণার ১০ মাস পর এখন আপত্তি জানাচ্ছে তিতাস। তিতাসের নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে দুই চুলার মাসিক বিল হবে ১ হাজার ৫৯২ টাকা। আর এক চুলায় বিল হবে এক হাজার ৩৮০ টাকা।

বর্তমানে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) গ্যাসের বিল আদায় করা হচ্ছে। আগে এক চুলার জন্য ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলাতে ৭৭.৪১ ঘনমিটারের বিল আদায় করা হতো। তিতাস দাবি করেছে, নির্ধারিত পরিমাণের (৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার) চেয়ে মিটারবিহীন গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে। ফলে সিস্টেম লস বৃদ্ধি পেয়েছে। তিতাস তার আবেদনে এক চুলা ৭৬.৬৫ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবদার করেছে বিইআরসির কাছে।

হিসাব করে দেখা গেছে, এ প্রস্তাব বিবেচনায় নিলে একজন গ্রাহককে সিঙ্গেল বার্নার চুলার জন্য ১৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার চুলার জন্য ১৫৯২ টাকা গুনতে হবে। এতে বিল বাড়বে সিঙ্গেল বার্নারে ৩৯ শতাংশ এবং ডাবল বার্নারে ৪৭ শতাংশের কিছু বেশি। বর্তমানে রান্নার গ্যাসের জন্য দুই চুলার (ডাবল বার্নার) মাসিক বিল ১০৮০ টাকা এবং এক চুলার মাসিক বিল ৯৯০ টাকা করা হয়েছে। সবশেষ ২০২২ সালের ৫ জুন গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় নতুন এ বিল নির্ধারণ করা হয়। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৯৭৫ ও ৯২৫ টাকা। বর্তমানে তিতাসের বিতরণ এলাকায় ২৮ লাখ ৫৭ হাজার বৈধ আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ২৫ লাখ ২৫ হাজার নন-মিটার আবাসিক গ্রাহক এবং তিন লাখ ৩২ হাজার প্রি-পেইড মিটারভিত্তিক আবাসিক গ্রাহক। এর মধ্যে এক লাখ ৫৫ হাজার একমুখী চুলা বা সিঙ্গেল বার্নার এবং ২৩ লাখ সাত হাজার দ্বিমুখী বা ডাবল বার্নার চুলার গ্রাহক রয়েছেন।

তিতাসের প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, কম-বেশি ২৫ লাখ গ্রাহকের বিপরীতে কোনো সমীক্ষা/তথ্য বিশ্লেষণ ব্যতিরেকে বিইআরসি এক চুলার ক্ষেত্রে ৫৫ ঘনমিটার ও দুই চুলার ক্ষেত্রে ৬০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার নির্ধারণ করায় সিস্টেম লস বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে একটি লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিইআরসির সাবেক সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, আমার তো মনে হয়, ৫০ ঘনমিটারের নিচে করা উচিত ছিল। প্রথমবার জন্য যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়েছিল। তখন শর্ত দেয়া হয়, প্রিপেইড মিটার বসানো এবং পরবর্তীতে কমিয়ে আনার।

কীসের ভিত্তিতে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের যে সাড়ে তিন লাখ প্রিপেইড মিটার ছিল সেখানে দেখা গেছে, গড়ে ৪৫-এর নিচে ব্যবহূত হয়েছে। বর্তমানে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) গ্যাসের বিল আদায় করা হচ্ছে। আগে এক চুলার জন্য ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলাতে ৭৭.৪১ ঘনমিটারের বিল আদায় করা হতো।

তিতাসের দেয়া তথ্য মতে, গত জুনের শুনানিতে তিতাসের জন্য গ্যাস বিতরণ মার্জিন কমিয়ে প্রতি ঘনমিটার ০.২৫ টাকা থেকে ০.১৩ টাকা করে বিইআরসি। এই পদক্ষেপের পর গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে তিতাসের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৯৬ শতাংশ কম। বিতরণ মার্জিন হ্রাসের পর থেকে তিতাসের মুনাফাও হ্রাস পেয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি লোকসানে পড়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত তিতাসের প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের বিল বিশ্লেষণ করে গত বছরের ১৯ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এতে দেখা যায়, প্রতি মাসে মিটার গ্রাহকদের কাছ থেকে গড়ে ১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা করে আয় করেছে তিতাস। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের তৎকালীন দাম ১২ টাকা ৬০ পয়সা হিসাবে তাদের মাসিক ব্যবহার দাঁড়ায় প্রায় ৩৪ ঘনমিটার। এরপর গ্যাসের দাম নির্ধারণের সময় বিইআরসির কাছে দুই চুলায় মাসিক ব্যবহার ৪০ ঘনমিটার করার দাবি জানিয়েছিল ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা জাতীয় সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

তথ্য মতে, তিতাস লোকসানে পড়ার জন্য দুটি কারণকে দায়ী করা হচ্ছে। এর একটি বিইআরসি কর্তৃক ডিস্ট্রিবিউশন মার্জিন প্রায় অর্ধেক করে দেয়া এবং অন্যটি গৃহস্থালির গ্যাস ব্যবহার থেকে সিস্টেম লসের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। যার কারণে সিঙ্গেল বার্নারের জন্য ৭৬ দশমিক ৬৫ ঘনমিটার এবং ডাবল বার্নারের জন্য ৮৮ দশমিক ঘনমিটার মাসিক গ্যাস খরচ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে তিতাস।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহারকারী গ্রাহকদের গ্যাসের পরিমাণ কমিয়ে দেয়ায় সিস্টেম লস বেড়ে গেছে। এ জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস। তাই নতুন করে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে গ্যাসের চুরি বন্ধ করে লাভে ফিরতে পারে তিতাস।

ক্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, তিতাস বিতরণ মার্জিন বাড়ানোর জন্য বিইআরসির কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ বিইআরসি ৩০০ প্রিপেইড মিটারের ওপর সার্ভে করে দেখেছে যে, (মাসে) ৪০ ইউনিটের বেশি কেউ গ্যাস ব্যবহার করে না। সেখানে তাদের ৬০ ইউনিট করে দেয়া হয়েছে। তাই বিতরণ চার্জ আর বাড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। বরং তিতাস কর্মকর্তাদের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কমানো প্রয়োজন। কারণ তারা আগের মতো গ্যাস সরবরাহ করছে না। গ্যাসের সংকটে ভুগছেন গ্রাহকরা।

তিনি আরও বলেন, ’৭৫ সাল থেকে (১৯৭৫) গ্যাসে প্রিপেইড মিটার করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা প্রিপেইড মিটার না দিয়ে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। হাই-প্রেসারের কথা বলে লো-প্রেসারে গ্যাস সরবরাহ করছে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, দুর্নীতি, অপচয়, অবৈধ মিটার কানেকশন, অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তাই দাম বাড়িয়ে দুর্নীতির পথ প্রশস্ত না করে অবৈধ বাণিজ্য বন্ধের দিকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

বিইআরসির কাছে করা আবেদনে বলা হয়েছে, রান্নার বাইরে বিশুদ্ধ করার কাজে পানি ফুটানো, শিল্পকারখানা এলাকায় একই বাসায় একাধিক পরিবারের সাবলেট থেকে বেশি রান্নার ফলে গ্যাসের অপব্যবহার বেশি হচ্ছে। তিতাসের চিঠিতে পোস্টেজ মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের তথ্য তুলে ধরা হলেও প্রিপেইড গ্রাহকদের কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি।

এ বিষয়ে বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রশিদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমডির (ম্যানেজিং ডিরেক্টর) সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু তিতাসের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে এমডি মো. হারুনুর রশিদ মিটিংয়ে আছেন বলে জানানো হয়। এছাড়াও তাকে ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি।

এক সময় বলা হতো আবাসিকের গ্রাহকরা অনেক বেশি গ্যাস পুড়ছে তাই দাম বাড়ানো উচিত। ওই বিতর্কের মধ্যেই ২০১৬ সালে লালমাটিয়া এলাকায় প্রথম পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রি-পেইড মিটার বসানো হয়। এতে রেজাল্ট এলো পুরো উল্টো, দেখা গেল প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারীদের বিল আসছে অর্ধেকের কম (দেড়শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা)। তখন মিটারবিহীন গ্রাহকের মাসিক ৭৭.৪১ ঘনমিটারের বিল ছিল ৬৫০ টাকা নেয়া হতো। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই বিল বাড়িয়ে দুই চুলা ৯৭৫ টাকা, সর্বশেষ (জুন ২০২২) ১০৮০ টাকা করা হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, দেশে বৈধ আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৩৮ লাখের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে সাড়ে ৩৪ লাখ গ্রাহকের পকেট কাটা হচ্ছে। মাসে ৫০০ টাকা হারে ধরলেও মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পকেট কাটা টাকার পরিমাণ বছরে ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এই হিসাব বড় পরিবারের, কিন্তু অনেক ছোট পরিবার রয়েছে যাদের ১ হাজার টাকার গ্যাসে তিন মাস চলে যায়। যুগ যুগ ধরে চলছে এই পকেট কাটার মহোৎসব।

গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে প্রথম দিকে বেশ তোড়জোড় ছিল। এখন যতটা পারা যায় বিলম্বিত করার কৌশলী অবস্থান নিয়েছে বিতরণ সংস্থাগুলো। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ২০১৮ সালে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের দ্রুত করার আদেশ দেন। কিন্তু কোম্পানিগুলোর ঢিলেমির কারণে গ্রাহক যাতে নিজেরা মার্কেট থেকে মিটার কিনে স্থাপন করতে পারে সেই সুবিধা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নানা মারপ্যাঁচে আটকে রাখা হয়েছে সেই সুবিধা। বিইআরসির পক্ষ থেকে একাধিক দফায় চিঠি দিয়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে তাগাদা দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে দেয়া চিঠিতে বিইআরসি বলেছে, ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর গেজেটে পর্যায়ক্রমে সব আবাসিকে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয় বিতরণ কোম্পানিগুলোর গৃহীত ব্যবস্থা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নয়। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে বলে কমিশন আশা করে। বিতরণ কোম্পানিসমূহের গৃহীত ব্যবস্থা কমিশনকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ