মাসকট থেকে ঢাকা যাচ্ছিল বিমানটি। ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে ১১টা বাজে। ভারতের রায়পুরের কাছাকাছি আসতেই আচমকাই অসুস্থতা বোধ করেন পাইলট। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা। আসলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন পাইলট।

উড্ডয়ন করা ফ্লাইটটি শুক্রবার ১১টা ৪০ মিনিটে ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মাস্কাট থেকে উড্ডয়ন করা বিমানটির ৪৬ বছর বয়সি ক্যাপ্টেন নওশাদ ১১টার দিকে রায়পুরের কাছাকাছি হালকা অসুস্থতা বোধ করেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এসময় দ্রুতই পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে তিনি এবং সহকারী পাইলট কলকাতা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ওই বিমান থেকে।

পরে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে ওই বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অবতরণের পর হোপ হাসপাতালে পাইলটের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল। ফ্লাইটে কতজন যাত্রী ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে সবাই অক্ষত ও নিরাপদ আছেন।

বিমানের এমডি আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি পাইলটের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তার অবস্থা এখন সুস্থতার দিকে । তিনি কথাও বলেছেন। দুইজন পাইলট ও দুইজন ককপিট ক্রু যাচ্ছেন ফ্লাইট এবং যাত্রীদের আনার জন্য।

বিমান সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইটটি ওমান যায়। সেখান থেকে স্থানীয় সময় মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।

তবে ভারতের স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটটি ঢাকার দিকে না এসে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

মাস্কাট থেকে বিজি-২২ ফ্লাইটের একজন যাত্রী জানান, মাস্কাট থেকে আমাদের ফ্লাইটে তোলা হয়। আমাদের মাস্কাটে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে সাড়ে ৬টায় বিমানে তোলা হয়। তবে বিমানটি পুশ ব্যাক করার সময় ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে অবশ্য নাগপুরে এটি জরুরি অবতরণ করে।

বর্তমানে বিমানের যাত্রীরা নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। যাত্রীদের আনতে নতুন ফ্লাইট পাঠানো হবে কিনা, এই ফ্লাইটে আনা হবে তা নিশ্চিত করেনি বিমান।

এর আগেও চলতি বছররে গোড়ার দিকে আকাশে ওড়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল একটি বিমানে। কিন্তু সেবারও তা সঙ্গে সঙ্গে নজরে আনায় রক্ষা মিলেছিল বড় বিপদের হাত থেকে।

নয়া শতাব্দী/এসইউ