দেড় কোটি টাকার সাঁতার শেখানোর প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে প্রকল্পটি বন্ধে নেওয়া হয়েছে বিভাগীয় ব্যবস্থা।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় সেই কর্মসূচি বন্ধ করে এর পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওই বৈঠকে দুজন সংসদ সদস্য সাঁতার শেখার প্রশিক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান।
এর জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি প্রথম পর্যায়ে ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা।
সচিব বলেন, এ জেলার তাড়াশে সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি তদন্ত করে দেখা গেছে, তারা সেটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে কর্মসূচিটি বন্ধ করে তাদের ব্লাকলিস্ট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি পরিচালকের বিরুদ্ধে।
এর আগের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ সাঁতার শেখানোর কর্মসূচির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ওই বৈঠকে তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় সাঁতার শেখানোর কর্মসূচি চলমান। কিন্তু কোথায় কারা সাঁতার শেখায়, তার কোনো তথ্য তিনি জানেন না। এলাকার মানুষও বিষয়টি অবগত নন। বলা হয়েছে, তার এলাকার ১০ হাজার শিশু সাঁতার শিখেছে। কিন্তু যারা শিখেছে, তাদের কোনো তথ্য নেই।
অপরদিকে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, তার নির্বাচনী এলাকা বগুড়ার সারিয়াকান্দি–সোনাতলার দ্বীপের মতো দুটি নদীর মাঝখানে বসবাস করছে মানুষ। সেখানে সাঁতার প্রশিক্ষণের কোনো কর্মসূচি নেই। নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সেখানে সাঁতার প্রশিক্ষণের কর্মসূচি চালুর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বগুড়া জেলা অন্তর্ভুক্ত না থাকলে কোনো একটি কর্মসূচির মাধ্যমে সেটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরে শহরাঞ্চলের শিশুদের জন্য সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির বিষয়ে চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ