বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা এবং পুলিশের কাজে বাধাদানের দুই মামলায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালত।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন— ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী, মমিন উদ্দিন কালু, কবির তালুকদার, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দিন, নাসির উদ্দিন।
এদের মধ্যে ইকতিয়ার উদ্দিন, সালাম মনু, আলো গাজী উভয় মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ঝন্টু।
তিনি জানান, আমরা গ্রেফতার ২১ জনের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত ইউএনও মুনিবুর রহমানের করা মামলায় তিনজনকে এবং কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শাহজালাল মল্লিকের করা মামলায় ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে তিনজন উভয় মামলার আসামি। তারা জামিন পেয়েছেন। অর্থাৎ মোট ৯ ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
বাকি আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা পরবর্তী তারিখে বাকি আসামিদের জামিনের আবেদন করব।
উল্লেখ্য, ইউএনওর দায়ের করা যাদের জামিন আবেদন করা হয়, তারা হলেন— মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. ওলি উল্লাহ, রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহরিয়ার বাবু, মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ,লিটন ঘোষ, রাকিব, মো. শুভ হাওলাদার, শুভ সাহা, ইখতিয়ার উদ্দিন, আব্দুস সালাম মনু, সাহিনুর ইসলাম সাহিন, হারুনর রশিদ, আলে গাজী রয়েছেন।
পুলিশের করা মামলায় যে ২১ জনের জামিন আবেদন করা হয়, তারা হলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইদ আহম্মেদ মান্না, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. ওলি উল্লাহ, রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহরিয়ার বাবু, মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, লিটন ঘোষ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. শুভ হাওলাদার, শুভ সাহা, ইখতিয়ার উদ্দিন, আব্দুস সালাম মনু, সাহিনুর ইসলাম সাহিন, হারুনর রশিদ, মো. মমিন উদ্দিন কালু, মো. কবির তালুকদার, মো. হুমায়ুন হাওলাদার, ইলিয়াস, জমির উদ্দীন, মো. মিরাজ গাজী, আলো গাজী, মো. নাসির উদ্দিন শরীফ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ইউএনওর বাসায় হামলার অভিযোগে এবং পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে ইউএনও ও পুলিশ ৬০২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন গ্রেফতার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ