ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
কোভিড-১৯

ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ পেল ১২ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশনার সময়: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৬:৩৬ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৬:৪৬

করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশকে ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ (প্রায় ১.৪৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ-সহায়তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বর্তমান বাজারদরে টাকার অংকে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ১৫ পয়সা) এই অর্থের পরিমাণ ১২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।

অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় গত ২ আগস্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ; যা মঙ্গলবার কার্যকর হয়েছে বলে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।

এই বরাদ্দ থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এই সহায়তা ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নে (রিজার্ভ) জমা হয়েছে। আর সে কারণেই অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়ে সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থান করছে।

এসডিআর আইএএফের একটি আন্তর্জাতিক রিজার্ভ তহবিল। এই তহবিল ১৯৬৯ সালে গঠন করা হয়। সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো তারল্য সংকটে পড়লে খুব কম সুদে এই তহবিল থেকে অর্থ দেয়া হয়।

এই তহবিলে ৯৪৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ এসডিআর জমা ছিল। সেখান থেকেই ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ এসডিআর সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশকে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে।

আইএমএফ তার সদস্য দেশগুলোকে তারল্য সহায়তা হিসেবে এসডিআর বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এসডিআর হলো- বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ সংরক্ষণের পাঁচটি মুদ্রার একক।

বর্তমানে ওই পাঁচটি মুদ্রা রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে আইএমএফ স্বীকৃত। এসডিআর বাস্কেটে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৭৩ শতাংশ মজুত রয়েছে ইউএস ডলারে। ইউরোয় আছে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চায়না ইউয়ানে ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ, জাপানি ইয়েনে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং পাউন্ড রয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

আইএমএফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এসডিআর ঋণের বার্ষিক সুদের হার হবে দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

গত বছরের মার্চে দেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। করোনার প্রভাবে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যায়; অন্যদিকে রপ্তানিও কমে যায়।

সে পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে ঋণ-সহায়তা চায় বাংলাদেশ। সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ঋণ-সহায়তা দিয়েছে। আরও দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আইএমএফ বাংলাদেশকে মোটা অংকের ঋণ দিল।

আইএমএফ জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে তারা আরও সহায়তা দেবে। এ ছাড়া এই ঋণ-সহায়তার অর্থ যাতে যথাযথভাবে ব্যবহার হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ