দেশে কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০ জন। গত ৪৪ দিনের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ৩ মে ৬৫ জন মারা যান। এ পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২৮২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জনে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৩ হাজার ৯৬৭ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮০৩ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৬ টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন করে মোট ১৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে চারজন ও সিলেট বিভাগে ছয়জন ও ময়মনসিংহে তিনজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে নয়জন এবং বাড়িতে পাঁচজন মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে ৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৫৩৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৯৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৫১ হাজার ১৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৭ হাজার ১১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
আরআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ