ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

বন্যায় বিপর্যস্ত পানিবন্দি মানুষ

প্রকাশনার সময়: ২২ আগস্ট ২০২১, ২১:৩৭ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২১, ২১:৫০

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনাগ্রাম ও জামসাপুর গ্রামের ৩৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ফরিদপুরে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানিবন্দি ৩০ হাজার মানুষ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় আনুমানিক ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা ও বাঘা উপজেলার এলাকার পদ্মাপাড়ের নিম্নাঞ্চলের আরো অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি, কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ।

আমাদের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনাগ্রাম ও জামসাপুর ২টি গ্রামের ৩৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গ্রামগুলোর মানুষ কোনোমতে বেঁচে আছে। তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এতে বাড়ির গবাদি পশু ও শিশুসহ পরিবারের সদস্যরা পড়েছে চরম বিপাকে।

বন্যাকবলিত গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গড়াই নদীর চরে বসবাসরত ৩৫টি পরিবার কয়েকদিন ধরে গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত ৩ দিনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিষধর সাপের ভয়েও তারা ঘুমাতে পারে না। এ পর্যন্ত সরকারি- বেসরকারি সংস্থা তাদের কোনো খোঁজ নেয়নি।

নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম মাস্টার বলেন, ৩৫টি পরিবারের শতাধিক মানুষ গড়াই নদীর চরে বসবাস করেন। তারা বন্যাকবলিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও মরাবিলা এলাকায় বেড়িবাঁধ চুইয়ে পানি মাঠে প্রবেশ করছে। পানি বিপদসীমার ওপরে রয়েছে।

এদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৭ সেন্টিমিটার। মোট বেড়েছে ৯.১৩ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফরিদপুর : ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফরিদপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী সুলতান মাহমুদ।

তিনি বলেন, গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দু’দিন পানি বৃদ্ধি হবে না। ২৬ তারিখের পর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুরের ৫০ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন এবং চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার শতাধিক গ্রামে এই পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক।

এদিকে, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্লা জানান, উপজেলার ঝাউকান্দা, হরিরামপুর, চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের ১৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি। উপজেলার চার ইউনিয়নের তিনটিই পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে। সদরপুরের তিনটি ইউনিয়ন দিয়ারানারকেল বাড়িয়া, চরনাছিরপুর ও চরমাইরের ১৫ গ্রামে পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের খবর রাখছি। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার কিছু জায়গায় খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। একদিন অপরিবর্তিত থাকার পর শনিবার সকাল থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকায় ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। মাঠের ফসল, ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পদ্মা নদী-তীরবর্তী চরাঞ্চল। এ কারণে ক্ষতিও বেশি। তবে দুই উপজেলার অন্য ইউনিয়নের কৃষকরাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বন্যার পানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ দুই উপজেলায় এবার বন্যায় আনুমানিক ২ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১ হাজার ৮৮ হেক্টর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আউশ ধান, শাকসবজি ও মসলাজাতীয় ফসল রয়েছে। পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর, আলাতুলি, চড়বাগডাঙ্গা, চরঅনুপনগর, দেবিনগর ও ইসলামপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ও উজিরপুর ইউনিয়নের কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজউদ্দীন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। একদিন অপরিবর্তিত থাকার পর শনিবার সকাল থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বিকেল পর্যন্ত পদ্মা-মহানন্দায় ২ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। ভারতের দিক থেকে নেমে আসা ঢলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও মহানন্দায় ৩২ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও জেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

রাজশাহী : পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হক জানান, রোববার ভোর ৬টায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১৭ দশমিক ৭৮ মিটার। এর আগের দিন শনিবার সকাল ৬টায় পদ্মার পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৭ দশমিক ৮৫ মিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ১৭ দশমিক ৮৩ মিটার। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৭ সেন্টিমিটার। ফলে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে। রাজশাহীতে পদ্মার পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।

এদিকে, পদ্মায় সামান্য পানি কমলেও এখনো রাজশাহী মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তালাইমারী শহিদ মিনার, পঞ্চবটি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মার তীর সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলোতে পানি উঠেছে। শুধু ২৪ নম্বর ওয়ার্ডেরই প্রায় দুই হাজার পরিবার জলমগ্ন রয়েছে। এছাড়াও গোদাগাড়ী, পবা ও বাঘা উপজেলার এলাকার পদ্মাপাড়ের নিম্নাঞ্চলের আরো অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

রাজশাহী পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রিফাত করিম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ টি-গ্রোয়েন ও এর আশপাশে মোট ১৬ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হবে। ইতোমধ্যে ১৪ হাজারের বেশি বস্তা ফেলা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম : উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে ধরলা অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রোপা আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বাসিন্দা আফসার আলী জানান, ভরা বর্ষা মৌসুমে বন্যা না হওয়ায় জমিতে আমন লাগিয়েছি। সেই আমন পানির নিচে। শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করে ধরলার পানি বাড়ল। এই পানি যদি দু-একদিনের মধ্যে নেমে যায় তো সমস্যা হবে না। আর যদি পানি আরো বেড়ে যায় তাহলে আমন চারা নষ্ট হয়ে যাবে।

অন্যদিকে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এদিকে নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। কবলিত এলাকাগুলোতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সিরাজগঞ্জ : যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া অভ্যন্তরীণ সব নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। টানা কয়েক দিন যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। পানিতে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার খামারিরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল সকালে তা বিপদসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা নদীর ভাঙনে জেলার কাজীপুর ও চৌহালী উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। কাজীপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিশ, মনসুরনগর, নিশ্চিন্তপুর ও তেকানী ইউনিয়নসহ চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানুই গ্রামে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এসব এলাকার অন্তত ১৩টি গ্রামের বেশকিছু বসতবাড়ি ধীরে ধীরে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাছুদুল হক বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, আরো দু-একদিন পানি বাড়তে পারে। যে কারণে এই সময়ের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।

ঈশ্বরদী : পদ্মা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ১ সেন্টিমিটার। শনিবার এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ২০ মিটার। গতকাল দুপুরে আগের দিনের থেকে ১ সেন্টিমিটার পানি কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ১৯ মিটার। তবে পদ্মার পানি এখনো এই পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁইছুঁই।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি স্প্যানের নিচেই এখন পানিতে পরিপূর্ণ। মাসখানেক আগেও ১৫টি স্প্যানের ৮টির নিচেই পানি ছিল না। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে অস্থায়ী যে দোকানপাট গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও তলিয়ে গেলে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার তীব্র স্রোত ও পানির তীব্রতা দেখতে শতশত মানুষ পদ্মাপাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন রোববার দুপুরে জানান, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা এখন ১৪ দশমিক ১৯ মিটার। অথচ শনিবার এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ২০ মিটার। পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ