ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

কিশোরীকে বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যান কারাগারে

প্রকাশনার সময়: ২২ আগস্ট ২০২১, ২০:১১

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আলোচিত সেই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার কারাগারে গেলেন। দুদকের করা দুর্নীতির একটি মামলায় আজ রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আজ দুপুরে পটুয়াখালী সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক রোখসানা পারভীন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের সহযোগী তৎকালীন বাউফলের কনকদিয়া ইউপি সচিব মো. মজিবুর রহমান, তৎকালীন বাউফল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মেসবা উদ্দিন তালুকদার এবং দুজন ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন ও আশরাফুল আলম কামালকেও কারাগারে পাঠান আদালত।

দুদকের আইনজীবী আরিফুল হক টিটো জানান, ২০১৬ সালে হতো দরিদ্রদের (ভিজিডি) তালিকা প্রণয়নে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে একই পরিবারের ৪৮ জন, ৯১ জন দ্বৈত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং ৯৪ জন বিত্তশালীসহ মোট ২৩৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করেন অভিযুক্তরা। এমন ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলে দুদকের নজরে আসে বিষয়টি।

এরপর তালিকা প্রণয়নে অসঙ্গতি পেয়ে ২০১৮ সালে ২৮ জানুয়ারি বাউফল থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তৎকালীন পটুয়াখালীর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস। পরে দুদক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর তারা জামিনে ছিলেন।

একপর্যায়ে ২০১৮ সালের ৩ মে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা খরচ বাবদ বাদ দিয়ে ৬ হাজার ৬৬৯ কেজি চালের মূল্য বাবদ ১৮ লাখ ৯ হাজার ৪০৮ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় অভিযুক্তরা। পরে দুদকের মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার বাদী ও তদন্তকারী অফিসার মানিক লাল দাস। এতে আদালত সন্তুষ্ট না হয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনা দেয় দুদককে।

সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা চার্জশিট দাখিল করেন।

করোনাকালে দীর্ঘদিন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় রোববার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক রোখসানা পারভীন জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।

উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সালিসে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে এক দিনের মাথায় তালাক দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় তিনি ব্যাপক আলোচিত হন। কিশোরীকে বিয়ের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ