চার মাস পর আজ থেকে খুলছে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রিসোর্ট ও পার্কগুলোতে দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের অফার।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পর্যটন, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। তবে সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
কক্সবাজারে বেশিরভাগ হোটেলে অর্ধেক ধারণ ক্ষমতার রুম বুকিং হয়ে গেছে। বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির হোটেল-মোটেলগুলোতেও ধোয়া-মোছার কাজ শেষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতো দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লেগে যাবে দীর্ঘ সময়।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত এপ্রিল থেকে বন্ধ ছিলো সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র। তবে খুলে দিলেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
এদিকে পর্যটনকেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি চলছে রাঙামাটিতে। তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নজরদারি ও প্রয়োজনে জরিমানার কথা বলছে প্রশাসন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েকমাসের ক্ষতি কাটাতে যাবে দীর্ঘ সময়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ খাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনিশ্চয়তার পড়েছে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা।
করোনা মহামারীর শুরুতে গত বছরের মার্চে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল সব বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র। সংক্রমণ কমলে গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে পর্যটনকেন্দ্র খুলতে শুরু করে। চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত এপ্রিল থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় পর্যটনকেন্দ্র। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে পুনরায় বিধিনিষেধ শুরু হয়। তবে ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারো বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ