ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) চলতি বছরের জুন ও জুলাই মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
জুনে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গুলশান বিভাগে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির।
শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী অফিসার তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদ খান। ডিএমপির সব থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে শাহজাহানপুর থানা।
পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে প্রথম হয়েছেন শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন সবুজবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. আজগর আলী।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এসআই মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ ও পল্টন থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার।
শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও বংশাল থানার এএসআই মো. তাজুল ইসলাম।
নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মদ পাটওয়ারী। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম ডিবি-তেজগাঁওয়ের সদস্য।
চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ।
অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোনাল টিম, ডিবি-মিরপুর।
অজ্ঞান-মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ওয়ারী জোনাল টিম, ডিবি-ওয়ারী বিভাগ।
আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা কবির, ওয়ারী ট্রাফিক জোন।
শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মো. সোয়ায়েব হোসেন, শাহবাগ ট্রাফিক জোন ও সার্জেন্ট আ. কাদের, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন।
এছাড়াও জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গুলশান বিভাগে গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী অফিসার তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদ খান। ডিএমপির সব থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে খিলক্ষেত থানা।
পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন খিলক্ষেত থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম।
পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন খিলক্ষেত থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) হুমায়ুন কবীর। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন গুলশান থানার এসআই মিরাজ আকন ও আতিকুর রহমান।
শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন খিলগাঁও থানার এএসআই মো. জালাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার এএসআই ঝন্টু রাজবংশী।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ