স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে বড় কোনো দুর্নীতি কেউ দেখাতে পারেনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের টেস্টিং জালিয়াতি, একজন ড্রাইভার বা নিম্নপদস্থ কর্মচারীর দুর্নীতি বা বিচ্ছিন্ন কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে অস্বচ্ছতার খবর ছাড়া কেউ স্বাস্থ্যখাতের বড় কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেনি। এক্ষেত্রে যারাই স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম করেছে, তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ( টিআইবি) প্রকাশিত রিপোর্টে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিআইবি দেশের স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ে একটি অসত্য রিপোর্ট তুলে ধরেছে। তাদের রিপোর্টটি আগাগোড়াই ভুল তথ্য সংবলিত। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে তারা (টিআইবি) কেবল সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করেছে।
তিনি আরো বলেন, টিআইবি বলেছে দেশে কোভিড টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো হয়নি। অথচ দেশে এখন করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগার থেকে ৫১০টি করা হয়েছে।
টিআইবি বলেছে, হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়নি, অথচ এখন দেশে করোনা বেড সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। কিছুদিন আগেও ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন হাসপাতালে প্রায় এক হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে, যেখানে প্রায় সবই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাপ্রাপ্ত এবং সেখানকার অর্ধেক সংখ্যকেই আইসিইউ সুবিধা রয়েছে।
টিআইবি বলেছে, দেশে আইসিইউ বেড সংখ্যা বাড়েনি, অথচ করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৩০০ ভাগ আইসিইউ বাড়ানো হয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে ভারতের সাথে ভ্যাক্সিন ক্রয় চুক্তিতে অস্বচ্ছতার কথা বলেছে যা মোটেও সত্য নয় জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তি থেকে শুরু করে সবকিছু ছিল স্বচ্ছ পানির মত পরিষ্কার ও উন্মুক্ত। দেশের সব মানুষই জানে ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে কী কী ছিল এবং কেন ভারত চুক্তির অবশিষ্ট টীকা দিতে পারেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং দ্রুতই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও প্রত্যাশা রয়েছে সরকারের।
আরআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ