প্রাক-প্রাথমিক, প্রথমিক স্তর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের এবং ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনমূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ হবে নতুন পাঠ্যবই।
এরইমধ্যে সরকারের দেয়া বিনামূল্যে এসব বই বিতরণের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। স্কুলে স্কুলে পৌঁছ গেছে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই।
এবারো ১ জানুয়ারির আগেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার নতুন বই ছাপানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে বই ছাপানোর কার্যাদেশ দিতে দেরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পাশাপাশি কাগজ ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বই উৎসবের মাত্র একদিন বাকি, এখনো ছাপার কাজই শেষ হয়নি।
কার্যাদেশ দিতে দেরির বিষয়টি স্বীকার করে এনসিটিবি বলছে, কাগজ সংকট ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে তারা। তবে ১ জানুয়ারি ৮০ শতাংশ বই দিয়ে উৎসব পালনে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাযথ ও আড়ম্বরভাবে আগামী ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব একযোগে করতে পারব।
তবে মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবির কার্যাদেশের মেয়াদই ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে ১ জানুয়ারি কীভাবে বই পৌঁছানোর কথা বলছে এনসিটিবি - এমন প্রশ্ন মুদ্রণসংশ্লিষ্টদের। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বই পৌঁছানোর চেষ্টায় তারা।
বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, আমাদের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বই পৌঁছানোর তারিখ দেয়া হয়েছে। আমরা অষ্টম, নবম ও তৃতীয় শ্রেণির ৮০ শতাংশ বই দিতে পারব। প্রথম ও দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৫০ শতাংশ দিতে পারব।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ