প্রথম যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়লেন দুই শতাধিক মানুষ। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে, গন্তব্য আগারগাঁও স্টেশন।
এর আগে, বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে প্রধানমন্ত্রী একটি পাস নেন। একইসঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও একটি পাস নেন। প্রধানমন্ত্রী মোট এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
এমআরটি পাস সংগ্রহ করে কনকোর্স লেভেল থেকে চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে তিনি প্লাটফর্মে উঠেন। এর আগে তিনি দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের এন্ট্রি প্ল্যান-বি এর চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে কনকোর্স লেভেল উঠেন। সেখানে কনকোর্স লেভেল সম্পর্কে ধারণা নেন।
তার আগে, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তিনি উত্তরার উত্তর স্টেশনে পৌঁছান এবং ১টা ২৯ মিনিটে তিনি ফলক পরিদর্শন শেষে মূল ফলকের পাশে তেঁতুল গাছের চারারোপণ করেন। সেখানে আরও একবার মোনাজাত অংশ নেন তিনি।
এর আগে, বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দ্রুতগতির যানবাহন ব্যবস্থার মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। তবে আজ উদ্বোধন হলেও ‘স্বপ্নের বাহনে’ চড়তে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত।
এদিকে মেট্রো ট্রেনের অভ্যন্তরে অন্যান্য কোচে আগে থেকেই আসন গ্রহণকারী ২০০ জন আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে যাত্রাপথে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আগারগাঁও স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে আনুষ্ঠানিক মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার উত্তরার দিয়াবাড়ি প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাক কর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ