মালয়েশিয়া, ইরান, স্পেনসহ ১১ দেশ থেকে আকাশপথে বাংলাদেশ ভ্রমণে নতুন বিধিনিষেধ দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
নতুন বিধিনিষেধ আওতায় পড়া অন্য দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, বতসওয়ানা, কিউবা, সাইপ্রাস, ইসওয়াতিনি, জর্জিয়া, লিবিয়া ও মঙ্গোলিয়া।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড রেগুলেশনস সোমবার রাতে এ নির্দেশনা জারি করে।
এতে বলা হয়, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এখন থেকে অনুমোদিত গ্রীষ্মকালীন সূচিভুক্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিয়ম অনুযায়ী চলাচল করবে। তবে এয়ারবাবল চুক্তি থাকা দেশগুলোর মধ্যে এখনই ফ্লাইট চালু করা যাবে না।
আগের বিধিনিষেধগুলোতে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নতুন জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির নাম নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। তবে করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নেয়া না থাকলে এই দেশগুলো থেকে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হবে না।
বাংলাদেশি নাবিক ও নৌ প্রকৌশলীরা দেশে ফিরতে পারবেন, তবে এর জন্য তাদের প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে হবে। একই সঙ্গে দেশে ফিরে তাদের নিজস্ব খরচে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এসব দেশ থেকে আসা নাগরিকদের করোনার টিকার দুই ডোজ নেয়া থাকলেও সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এই দেশগুলো ছাড়া ১৬টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
দেশগুলো হলো ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ফ্রান্স, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, কাজাকিস্তান, কুয়েত, কির্জিস্তান, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া ও যুক্তরাজ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের করোনা টিকার দুই ডোজ নেয়া আছে তারা ১৪ দিনের কঠোর হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে পারবেন। যাদের করোনার টিকা দেয়া নেই তাদের বিমানবন্দরেই দেখাতে হবে হোটেল বুকিং সংক্রান্ত নথি।
এই দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীরা বিধিনিষেধের মধ্যে থাকা দেশগুলোতে ট্রানজিট নিতে পারবেন, তবে তাদের এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তারা বিমানবন্দরের বাইরে যাননি।
তালিকায় নেই ভারত
দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত ১৪ এপ্রিল বন্ধ করা হয় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর ১ মে ১২টি দেশ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে আকাশপথ খুলে দেয়া হয়। তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ।
বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন হলেও ভারতের সঙ্গে আকাশপথ বন্ধই ছিল। সবশেষ গত ৫ জুলাই থেকে ভারতসহ আট দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সার্কুলার দেয় বেবিচক।
সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে ফের ফ্লাইট চালু করতে ঢাকা-দিল্লি আলোচনা চলছে। নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দুদেশের মধ্যে থাকা এয়ারবাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চালুতে আগ্রহ দেখিয়েছে দুই দেশ। বেবিচক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় আপাতত সে পথ খুলল।
গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ। তারপর গত বছর ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ারবাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ