ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সপ্তাহে ১ দিন বীর মুক্তিযোদ্ধারা সচিবালয়ে যেতে পারবেন’

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৩৭

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমরা সচিবালয়ে নোটিশ দিয়ে দেব। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এলে যেন সম্মানের সঙ্গে সচিবালয় প্রবেশ করতে পারেন। কোনো রকমের ভোগান্তি ছাড়াই যেন তাদের সব কাজ সচিবালয়ে করে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। সপ্তাহে প্রতিদিন যাওয়ার দরকার নেই। এক দিন যাবেন মুক্তিযোদ্ধারা।’

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সম্মান করেন, বঙ্গবন্ধুর পরে আর কেউ (এ রকম সম্মান) দেননি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা সুবিধা দিয়েছেন, হাসপাতাল করা হয়েছে, সেখানে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন।’

মীর জাফরের বংশধর এখনো বেঁচে রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহ্য করতে পারে না। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব ও দেশ স্বাধীন করার অবদান স্বীকার করে না। সে জন্য তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’

মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জনগণকে সম্পৃক্ত করেই স্বাধীনতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, যার কারণে সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমরা ঢাকার কাছে চলে আসছিলাম। ঢাকা দখল করে ফেলার মতো অবস্থায় চলে আসছিলাম। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি গিয়েছি। কিছুদিন আগেই বর্ডার এলাকায় গিয়েছিলাম। অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর বর্ডার এলাকায় রয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা যত দিন বেঁচে আছি, সবাই এক সঙ্গে থাকব, এক সঙ্গে চলব। আমরা সব সময় বাংলাদেশের বিজয়ের কথা বলব। আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছি, তখন আমাদের কাছে হাতিয়ার ছিল না। একটি জিনিস ছিল, একটি স্লোগান ছিল—‘জয় বাংলা’। আমাদের একটি দাবি ছিল, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগানে পরিণত করা হোক। আজকে সেটা জাতীয় স্লোগানের পরিণত হয়েছে। সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে সবকিছুতেই ঋণী।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ অনেকে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ